নিউজ সোনারগঁ২৪ডটকম: সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের পূর্ব বেহাকৈর কালিয়া ভিটা গ্রামে গতকাল মঙ্গলবার সকালে এক জামদানী শ্রমিককে কাজে নেয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের ৮জন মারাত্মক আহত হয়েছে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের পূর্ব বেহাকৈর কালিয়া ভিটা গ্রামের ফেদু মিয়ার ছেলে আজিজুল ইসলামের জামদানি কারখানায় সুমন নামের এক কারিগর দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে। ১২ বছর বয়সী সুমন তার কাজে ভুল করার কারণে মঙ্গলবার সকালে আজিজুল ইসলাম তাকে চর থাপ্পর মারে। এসময় প্রতিবেশী আজিজুল ইসলামের প্রতিবেশী এনামুল হকের ছেলে সামির সুমনকে আজিজুলের কারখানার কাজ ছেড়ে তার জামদানী কারখানায় কাজ করতে বলে। এ ঘটনায় আজিজুল ও সামিরের মধ্যে তর্ক শুরু হয়।এক পর্যায়ে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে আজিজুল ইসলাম, সাত্তার মিয়া ও ইউসুফ মিয়া তিন ভাই আহত হয়। অপরদিকে, সামিরের পক্ষের সামির. শাহীন, আকিব, তাজল ও সুমন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
আহত আজিজুল ইসলামের ভাতিজা আব্দুল গাফফার আপন জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমার চাচা আজিজুল ইসলামের সাথে পাশ^বর্তী সমির আলীর বড় ভাইয়ের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছে। এ বিরোধের ক্ষিপ্ত হয়ে কারিগর সুমনের বিচার সালিশকে কাজে লাগিয়ে সকালে পরিকল্পিভাবে হামলা করে। হামলায় আমার তিন চাচা আহত হন।
আহত সামির জানান, অল্প বয়সী কারিগর সুমনকে আজিজুল বিনা কারনে বিভিন্ন সময়ে মারধরে করে থাকে। আজিজুল তাকে অমানবিকভাবে মারধরে করায় আমি তাকে তাদের বাড়ির কাজ ছেড়ে আমাদের কারখানায় কাজ করতে বলায় তারা আমাকে মারধর করে।
সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, জামদানী শ্রমিক নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।